স্টাফ রিপোর্ট:
সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন নির্দেশিত চলতি বছর আম সংগ্রহ, বাজারজাতকরণ ক্যালেন্ডার অনুযায়ী প্রথম পর্যায়ে আজ ০৫ মে থেকে সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে গোপালভোগ গোবিন্দভোগ, বোম্বাই, গোলাপখাস, বৈশাখীসহ কয়েকটি স্থানীয় জাতের আম বাজারে উঠতে শুরু করেছে। এছাড়া পর্যায়ক্রমে ২৫ মে হিমসাগর, ০১ জুন ল্যাংড়া ও ১৫ জুন থেকে আম্র পালি আম গাছ থেকে পেড়ে বাজারজাত করতে পারবেন বাগান মালিকরা।
তারই ধারাবাহিকতায় রবিবার (৭ মে) সকাল থেকে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার আম বাগানে ঘুরে ঘুরে আমপারা তদারকি করলেন কালিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহসভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান সাঈদ মেহেদী।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রহিমা সুলতানা বুসরা, উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি আজহার আলী, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ অসীম উদ্দিন, থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মামুন রহমান প্রমূখ।
এ সময় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ অসীম উদ্দিন বলেন, গত কয়েক বছর প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবলে পড়ে আম চাষিরা মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়েন। তবে এবার কালিগঞ্জে আমের বাম্পার ফলন হওয়ায় লাভের স্বপ্ন দেখছেন আমা চাষীরা। বর্তমানে আম পাড়া ও বাজার জাত নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন চাষিরা।
উপজেলা চেয়ারম্যান সাঈদ মেহেদী বলেন, বাগান মালিক, কৃষি কর্মকর্তাসহ সকল পক্ষকে নিয়ে সভা করে আম বাজারজাত করার তারিখ নির্ধারণ জেলা প্রশাসন। পূর্ব ঘোষিত তারিখ অনুযায়ী পর্যায়ক্রমে বাগান থেকে আমা সংগ্রহ ও বাজারজাত করা হচ্ছে। কঠোর তদারকির মাধ্যমে সাতক্ষীরাসহ কালিগঞ্জের আম বিদেশের বাজারেও পাঠানো হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রহিমা সুলতানা বুশরা বলেন, আবহাওয়াজনিত কারণে বাংলাদেশের সাতক্ষীরার আম মৌসুমের শুরুতেই পরিপক্ক হয়। আগাম প্রাপ্তি ও স্বাদের কারণে দেশের বাজারে সাতক্ষীরার আমের প্রচুর চাহিদাও রয়েছে। গেলো কয়েক বছর ইউরোপের বিভিন্ন দেশে রপ্তানিও হচ্ছে সাতক্ষীরার কয়েকটি বাগানের আম।
তবে আগাম বাজার ধরতে অপরিপক্ক আম কেমিক্যাল দিয়ে পাকিয়ে আগাম বাজারজাত করেন কিছু অসাধু ব্যবসায়ী। এজন্য অসাধু ব্যবসায়ীদের রুখতে জেলা প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা অভিযান পরিচালনা করে। এরইমধ্যে সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে বেশ কয়েকটি এলাকায় অভিযান চালিয়ে কেমিক্যাল দিয়ে পাকানো কয়েক হাজার কেজি অপরিপক্ক আম জব্দ ও বিনষ্ট করা হয়েছে।
Leave a Reply